পেঁয়াজবাহী ট্রাক বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি পায়নি সীমান্তে আটকা,বিব্রত ভারত

পেঁয়াজ রপ্তানিতে আচমকা নিষেধাজ্ঞা জারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছুটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের একাংশের আশঙ্কা, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সাম্প্রতিক টানাপোড়েনে এই সিদ্ধান্ত ইন্ধন জোগাতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই অনুরোধ নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। আপাতত চেষ্টা চলছে, নিষেধাজ্ঞার জন্য বিভিন্ন সীমান্তে আটকে পড়া কয়েক শ পেঁয়াজবাহী ট্রাক যাতে বাংলাদেশে যাওয়ার অনুমতি পায়, সেই ব্যবস্থা করার। আজ বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অবশ্য সেই সম্পর্কিত নির্দেশ ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সম্ভব হয়নি।

মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের খবর, বিদ্যমান ‘এল সি’র অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে কয়েক শ ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সেই সব ট্রাককে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত এই ব্যবস্থা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতকে অনুরোধ করেছে। ভারত গুরুত্বের সঙ্গে সেই অনুরোধ রক্ষা করতে সচেষ্ট।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রের মতে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে ইদানিং অনেক আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর সুসম্পর্ক রক্ষার আরও এক আন্তরিক প্রচেষ্টা। এই অবস্থায় আচমকা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত সেই প্রচেষ্টার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে কোনো কোনো মহলের আশঙ্কা। গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের সময় হুট করে রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে আগাম জানানো দরকার যাতে বাংলাদেশ বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারে। কিন্তু এবারও তা করা হয়নি।

বাংলাদেশের পেঁয়াজের ঘাটতির প্রায় ৯০ শতাংশ রপ্তানি করে ভারত। এবার রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার দুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম তিন গুণ বেড়ে গেছে। মানুষজন ভীত হয়ে পেঁয়াজ মজুত শুরু করে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *