শিপ্রা মামলা করতে থানায় গিয়ে ফিরলেন

ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করতে গেলেও অবসারপ্রাপ্ত মেজর সিনহার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথের সেই মামলা আমলে নেয়নি কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তাসহ প্রায় ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার সদর থানায় গিয়েছিলেন শিপ্রা দেবনাথ।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপুকে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যান শিপ্রা দেবনাথ। এ সময় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ঘটনাস্থল রামু থানা ও বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার পরামর্শ দিয়েছেন।

মামলার ঘটনাস্থল কক্সবাজার দেখানোর কারণ সম্পর্কে আইনজীবী বলেন, যেহেতু শিপ্রা এখন কক্সবাজারের আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের জলতরঙ্গ রিসোর্টে অবস্থান করছেন, তাই ঘটনাস্থল হিসেবে কক্সবাজারকেই দেখানো হয়েছে।

আইনজীবী মাহাবুবুল বলেন, ‘শিপ্রাকে আটক করার পর তাঁর কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিভাইস (মোবাইল ফোন) ও পেনড্রাইভ নিয়ে গেছে। এগুলো থেকে তাঁর ব্যক্তিগত ছবি, “জাস্ট গো” তথ্যচিত্রের জন্য ধারণ করা ছবি আপত্তিকরভাবে এডিট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেসহ ইউটিউব চ্যানেলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, তবে কক্সবাজার সদর থানা তাঁদের মামলাটা নেয়নি। ওসি তাঁদের বলেছেন, যেহেতু শিপ্রাসহ পুরো টিমের ডিভাইস রামু থানা জব্দ করেছে, তাই এই অভিযোগ ওই থানায় দেওয়াই সংগত। তাঁরা এখন বসে কথা বলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের শামলাপুর চেকপোস্টে ৩১ জুলাই রাত ৯টার দিকে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের সহযোগি শিপ্রা দেবনাথ। ওইদিন ঘটনাস্থলে শিপ্রা না থাকলেও আরেক সহযোগী সিফাত ছিলেন।

তবে হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে তাদের রুমে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে রামু থানায় শিপ্রার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পান শিপ্রা দেবনাথ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *