সাবেক মেজর সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ অভিযুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠালো আদালত

টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাসসহ অভিযুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কক্সবাজারের আদালত।

পুলিশ জানায়, প্রদীপ নিজ থেকেই আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য পুলিশ পাহারা রয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসি প্রদীপকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। আইনগত প্রক্রিয়ায় পুলিশ প্রদীপকে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করবে। তবে এই হস্তান্তরের আগেই প্রদীপ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, “যেহেতু এটি হত্যা মামলা, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন দেয়ার এখতিয়ার নেই। তাই তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।”

পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে মি. মোস্তফা বলেন, “এরপর তদন্তকারী অফিসার রিমান্ডের আবেদন করতে পারেন। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি র‍্যাবের তদন্তকারী অফিসার রিমান্ডের আবেদন করবেন। অভিযুক্তরাও চাইলে উচ্চতর আদালতে যেতে পারবেন।”

এর আগে দুপুরের দিকে ওসি প্রদীপ কুমার দাস চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

এরপর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের আদালতে নেয়া হয় তাকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন এস আই লিয়াকতসহ বাকি আটজন অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য।

এর আগে বুধবার কক্সবাজারের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রদীপ কুমার দাস এবং বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ লিয়াকত সহ নয়জন পুলিশ সদস্যকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত মেজর (অব.) সিনহা রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়ার।

মামলার তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‍্যাবকে।

এছাড়া গতকালই ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে টেকনাফ থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

গত ১লা অগাস্ট টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এই ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *