অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে সাহাবুদ্দিন মেডিকেল বন্ধ করল র‌্যাব

রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযানে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসায় ভয়াবহ জালিয়াতির তথ্য উঠে আসার পর এবার একই ধরনের অভিযোগে শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব।

গতকাল রবিবার বিকেলে গুলশান-২-এ অবস্থিত ওই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ অ্যান্টিবডি পরীক্ষার কিট, অন্য হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে দেওয়া রিপোর্ট, পুরনো সার্জিক্যাল সরঞ্জাম এবং অবৈধভাবে ব্যবহৃত ডিভাইস জব্দ করেন। আটক করা হয় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. আবুল হাসনাত ও হাসপাতালের ইনভেন্টরি অফিসার শাহরিজ কবির সাদিকে।

এছাড়া হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে ১০ বছর আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল সামগ্রী-ওষুধ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে র‌্যাব।

৫০০ শয্যার এই হাসপাতালে এখন কত রোগী রয়েছে, তা জানা যায়নি।

র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি শাহাবুদ্দিন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন বাতিল করেছে। কিন্তু তারা অবৈধভাবে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল। এই পরীক্ষার নামে রোগীদের কাছ থেকে তিন থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছিল। অন্য হাসপাতালে পরীক্ষা করিয়ে নিজেদের প্যাডে রিপোর্ট দেওয়া, অবৈধভাবে সরঞ্জাম ব্যবহার এবং একই মাস্ক-গ্লাভস একাধিকবার ব্যবহারের আলামত পেয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সাহাবুদ্দিন এক সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি ছিলেন। তবে ২০১৯ সালে তিনি পদত্যাগ করে বিএনপি ছাড়েন।

অভিযোগের বিষয়ে সাহাবুদ্দিন বলেন, যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সবটাই ঠিক নয়। আর র‌্যাব তাদের কাছে থাকা প্রয়োজনীয় কাগজ দেখেনি।

অভিযানে র‌্যাব যে সব অভিযোগ এনেছে, সে সব বিষয়ে তিনি বলেন, “তদন্ত করলেই সব বের হবে। প্রয়োজনে শাস্তি মাথা পেতে নেব।

তিনি বলেন, “আমি নিজে জেলে যেতে রাজি আছি। অভিযানের পর থেকে কোথাও পালিয়ে যাইনি। অফিসেই আছি। তবে যেভাবে ডাক্তারকে ধরে নেওয়া হয়েছে, তা ঠিক হয়নি। তার নি‌ন্দা জানাচ্ছি।”

“এই প্রতিষ্ঠানটি মূলত সেবামূলক। আমার সমস্ত অর্জন শেষ হয়ে গেল,” বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *