রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর জন্য র্যাব হটলাইন চালু করার পর একদিনে ৯২টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট প্রদান ও অর্থ আত্মসাৎসহ প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম গ্রেফতারের পর আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে রয়েছেন। রিজেন্টে অভিযানের পর থেকেই তার বিষয়ে বহু প্রতারণার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
এই অভিযোগকারীদের একজন হাই কোর্টের আইনজীবী গাজী নাসরিন আকতার নাজ বলেন, প্রায় দশ বছর আগে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে বিডিএফ নামে একটি সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নিয়েছিলেন। প্রথম দুই মাস বেতন দিলেও পরে তিন মাস ধরে বেতন না দেওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।
র্যাব সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে সাহেদের প্রতারণার বিষয়ে তথ্য আহ্বানের পর থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ নানাভাবে র্যাবকে তথ্য জানিয়ে সহায়তা চাচ্ছেন। একদিনেই সাহেদের বিরুদ্ধে ৯২টি প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ফোনকলের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা র্যাবকে ৭২টি অভিযোগ দিয়েছেন। আর ২০টি অভিযোগ এসেছে ই-মেইলে।
৯২টি অভিযোগই ভিন্ন ধরনের জানিয়ে এই র্যাব কর্মকর্তা বলেন, “সাহেদ নানাভাবে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করত বলে এসব অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীদের সহযোগিতা করা ও আইনি সহায়তার জন্য ০১৭৭৭-৭২০২১১ হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি চাইলে যে কেউ ই-মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন ([email protected])। প্রয়োজনে র্যাব তদন্ত উইং প্রতারিত বা ভুক্তভোগীর নাম পরিচয় গোপন রাখবে।
গত ৬ ও ৭ জুলাই উত্তরায় সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের অফিসে অভিযান চালিয়ে কোভিড- ১৯ পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার প্রমাণ পায় র্যাব। এই ঘটনায় ৭ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলার পর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন।
নয় দিন পর বুধবার সাতক্ষীরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখন মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন সাহেদ।