ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিকে বিয়ে করে ভারতীয় ‘জঙ্গি’

সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর মতিঝিল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)।

সিটিটিসির উপকমিশনার সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারতীয় ওই নারীর অনলাইনে ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশি আমির হোসেন সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, পরে ‘টেলিফোনে দুজনের মধ্যে’ বিয়ে হয়।

“এর আগে থেকে সে নব্য জেএমবির নারী শাখার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রাখতো। সেখান থেকে সে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুসলমান হয় এবং এক পর্যায়ে নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয়।”

ওই মামলায় রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলাতেই ভারতীয় এই তরুণীকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে আমাতুল্লাহ সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২৮ বছরের এই নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়।

বাংলাদেশে আসার পর সে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করে তা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে। তা দিয়ে নব্য জেএমবির সদস্যদের সহায়তায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে ও  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরি নেয়।

গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, বাংলাদেশের জাতীয় পরিচপত্র ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

সিটিটিসি কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, এরপর থেকে আসমানীর পরামর্শে সে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার আরও বেশ কিছু সহযোগী আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৯ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাসনিম অনলাইনের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে অনলাইনে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা শুরু করে। সেখান থেকে নব্য জেএমবির সদস্যরা তাকে দলে ভেড়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *