সাহেদকে মারতে চেয়েছিলেন এলাকাবাসী

করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে বুধবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। করোনা মহামারির এই সময়ে সবাই যখন নিজেদের জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত তখন সাহেদের এমন প্রতারণার খবরে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ দেশের মানুষ।

যার প্রতিফলন দেখা গেল সাহেদ গ্রেফতারের পরে। গ্রেফতারের পর র‌্যাবের হেফাজতে থাকা অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে মারতে চেয়েছিলেন।

বোরকা পরে নৌকাযোগে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যেতে চেয়েছিলেন রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ। কিন্তু তার যাওয়া আর হলো না। অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।

র‌্যাব সদস্যরা যখন সাহেদকে ধরে নিয়ে আসছিলেন তখন এক কিশোর র‍্যাবের কাছে আবদার করে বলল; সবাই মিলে একটু মারলে হইতো। যদিও র‍্যাব ওই কিশোরের আবদার রাখেনি। ওই কিশোরের মতো বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী সাহেদের দিকে মারমুখী হন। কিন্তু র‌্যাবের বাধার কারণে তারা সাহেদকে মারতে পারেননি।

এদিকে গ্রেফতার হওয়া সাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‌্যাবের সদর দফতরে নেয়া হয়েছে। বুধবার সকাল পৌনে ১০টার তাকে নিয়ে সেখানে নেয়া হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ করা হবে। এর আগে সাহেদকে বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল ৯টার দিকে স্বাতক্ষীরা থেকে রাজধানীর তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *