বিডি নিউজ ৬৪: ধরলা নদীর পাড়ে কুড়িগ্রামেই তার জন্ম হয়েছিল। আর সবারই যেখানে নাড়ি পোঁতা, যেখানে জন্ম হয়েছে, সে জায়গার প্রতি টান থাকে, তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। এভাবেই শেষ ইচ্ছা ব্যক্ত করেছিলেন সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক। তার শেষ ইচ্ছা ছিল কুড়িগ্রামের মানুষ যেন তাকে এখানে রাখে। তার শেষ বিশ্রামের জন্যে। তার শেষ ঠিকানা হবে কুড়িগ্রাম।
সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের শেষ ইচ্ছানুযায়ী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের মূল ফটকের দক্ষিণ পাশে তার শেষ বিশ্রামের স্থান বা শেষ ঠিকানা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পৌর কর্তৃপক্ষ কবর তৈরির কাজ করছে। কবর তৈরির কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। দুপুর ২টার মধ্যে কবর তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল।
তিনি আরো জানান, বাদ আসর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে তার জানাজার নামাজ হওয়ার কথা। এজন্য জেলা জুড়ে মাইকিং চলছে। কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, সরকারের বিশেষ নির্দেশে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কবিকে সমাহিত করার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। কবির মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টারটি কুড়িগ্রামে পৌঁছাবে।