ওজন কমানোর উপদেশ না শোনায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করিনি ছয় বছর!
ওজন কমানোর উপদেশ না শোনায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করিনি ছয় বছর!

ওজন কমানোর উপদেশ না শোনায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করিনি ছয় বছর!

বিডি নিউজ ৬৪: ছয় বছর আগে আমাদের সর্বকনিষ্ঠ মেয়ের জন্মের পর থেকে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করিনি। এর জন্য অনেকটা আমি নিজেই দায়ী। মেয়ের জন্মের পর আমি আমার স্ত্রীকে তার ওজন কমানোর প্রচেষ্টায় সহায়তার চেষ্টা করি। কিন্তু সে আমার উপদেশ শোনেনি। এতে আমি রেগে যাই এবং তার সঙ্গে যৌনমিলন এড়িয়ে চলতে থাকি। এরপর আমি বুঝতে পারি যে আমার এই ধরনের আচরণ করাটা ঠিক হচ্ছে না। গত দুই বছর ধরে আমি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এবার আমার স্ত্রী উল্টো আমাকে এড়িয়ে চলছেন। এখন আমি কী করব?

আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। আস্থা ফিরে পেতে সময় লাগে। আর প্রত্যাখ্যানের বেদনা ভুলতেও অনেক সময় লাগে। আপনার স্ত্রী আপনাকে এড়িয়ে চলছেন স্ব-প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে। তিনি এখনও আপনি তাকে যে শাস্তি দিয়েছেন তা ভুলতে পারেন নি। আপনি তাকে ফের কখনও এ ধরনের শাস্তি দেবেন না এ ব্যাপারে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে। আর আপনাকে এই বিষয়টিও তাকে পুনরায় আশ্বস্ত করতে হবে যে আপনি তাকে সত্যিই মূল্যায়ন করেন। এবং তার শারীরিক অবয়বকেও সত্যিকার অর্থেই পছন্দ করেন।

আপনি এখন নিশ্চয়ই বুঝেছেন যে, যৌনতাকে কখনও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে নেই। আপনার জন্য এখন সেরা কাজটি হবে স্ত্রীর পাশে বসে ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা। আন্তরিকতার সঙ্গে ক্ষমা চাওয়া। আর তাকে জিজ্ঞেস করুন কী করলে আপনার প্রতি তার আস্থা ফিরে আসবে।

আপনার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে তার মধ্যে কী অনুভূতি কাজ করে সে ব্যপারে তাকে জিজ্ঞেস করুন। আর কোনো বিরতি ছাড়াই তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কথা বলার সময় আত্মরক্ষামূলক মনোভঙ্গি এবং তাকে পাল্টা দোষারোপ করার প্রবণতা এড়িয়ে চলুন।

আপনার সঙ্গে পুনরায় তাকে নিরাপদ বোধ করতে হবে। নয়ত তিনি আর কখনোই আপনার সঙ্গে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার ক্ষেত্রে স্বস্তি বোধ করবেন না।

যথাযথভাবে সংঘাতের মীমাংসা না করলে দাম্পত্য সম্পর্ক ধসে পড়ে এবং এড়িয়ে চলা, নিষ্ক্রিয় আগ্রাসন, পালিয়ে বেড়ানো, অচলাবস্থা বা ঠাণ্ডাযুদ্ধের মতো অস্বাস্থ্যকর কাঠামোতে প্রবেশ করে। এর কোনোটির সঙ্গেই স্বাস্থ্যকর ভালোবাসার সহাবস্থান সম্ভব নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *