বিডি নিউজ ৬৪: শিশুদের দেখলেই তাকে আদর করতে কে না চান? কোলে নিয়ে একটু খুনসুটি বা একটা চুমু সবাই দিতে চান। কিন্তু এক মা কোনো শিশুকে চুমু দেওয়ার আগে আরেকবার ভেবে দেখতে বলেছেন। এ নিয়ে সাবধান করে ফেসবুকে একটি পোস্টও দিয়েছেন তিনি। তার নিজের ছেলেটি কিভাবে যেন হারপেস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথের অ্যামি স্টিনটনের ছেলেটির বয়স মাত্র ১৪ মাস। তার নাম অলিভার। বাচ্চাটির পায়ের ওপরের দিকে এবং পাতার ওখানে লালচে দাগ উঠে ভরে গেছে। সেখানে ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ঠোঁটে বা মুখের বাহির ও ভেতরের দিকে এক ধরনের ঘা হয়। এর সংস্পর্শে আসলে বাচ্চাদের এমন হতে পারে। অলিভারকে এখন এই ভাইরাস আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। কাজেই কোনো শিশুকে চুমু খাওয়ার আগে দ্বিতীয়বার ভেবে নিতে হবে।
পায়ে এসব র্যাশ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই বাবা তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় ছিল, চিকিৎসক তাকে সরাসরি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন, জানান স্টিনটন। তাকে ইনটেনসিভ কেয়ারে নেওয়া হয়। যদি দেরি হতো, তবে ভাইরাসটি তার অন্যান্য প্রত্যঙ্গ আক্রমণ করতো।
অলিভারের দেহে হারপেস সিমপ্লেক্স ভাইরাস ধরা পড়ে। অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্রয়োগে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। হারপেস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে ঠোঁট ও মুখের ঘা হয়ে থাকে।
নবজাতকদের মাঝে এই ভাইরাস মারাত্মক অবস্থার সৃষ্টি করে। এটি তাদের মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভার ও ত্বকে আক্রমণ করে।
২০১৫ সালে আরেক মা তার কন্যাশিশুর দেহে এমস সংক্রমণের ছবি তুলে দেন।
জনকাস্টারের ক্লেয়ার হেনডারসন লিখেছেন, এ বিষয়টি সব নতুন মায়েদের জানা উচিত।
অক্সফোর্ড অনলাইন ফার্মেসির ড. হেলেন ওয়েবারলি জানিয়েছেন, পারপেস ভাইরাসটি ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে। রক্তে মিশে গিয়ে মস্তিষ্কে চলে যেতে পারে। বাচ্চাদের মাঝে এ জাতীয় কোনো চিহ্ন দেখামাত্রই যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞের কাছে নিতে হবে।
আর যাদের ঠোঁটে বা মুখে ঘা আছে, তারা শিশুকে অবশ্যই চুমু দেবেন না।