বিশ্বব্যাপী ৪% মৃত্যুর কারণ একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা
বিশ্বব্যাপী ৪% মৃত্যুর কারণ একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা

বিশ্বব্যাপী ৪% মৃত্যুর কারণ একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা

বিডি নিউজ ৬৪: বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু হয় তার প্রায় ৪ শতাংশই ঘটে একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে। অর্থাৎ প্রতি বছর প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিদিন একটানা ৩ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বসে থাকার কারণে। নতুন এক গবেষণায় তেমনটিই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
গত কয়েক দশকে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কীভাবে একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে মৃত্যু ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর এ ক্ষেত্রে ব্যায়াম করা বা না করায়ও কোনো হেরফের হয় না।
অ্যামেরিকান জার্নাল অফ প্রিভেনটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত নতুন এই গবেষণায়, ২০০২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে ৫৪টি দেশের জনগনের মধ্যে “চেয়ার প্রভাব” এর ফলে অকাল মৃত্যুর হার নির্ণয় করা হয়েছে।
গবেষণাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন ব্রাজিলের সাওপাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের লিওনার্ডো রেজেন্ডে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যুর হার কমাতে অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন কমানো জরুরি হয়ে পড়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা দিনের যতটা সময় বসে থাকি তার পরিমাণ কমিয়ে আনার মাধ্যমে ০.২০ বছর আয়ু বাড়ানো সম্ভব।”
ওই গবেষণায় আরো দেখা গেছে, বিশ্বব্যাপী ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন তিন ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটানা বসে থাকেন। আর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর পরিমাণ দিনে গড়ে ৪.৭ ঘন্টা। আর ৩.৮ শতাংশ মৃত্যুর পেছনে এটিই সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে কাজ করছে।
পৃথিবীর যেসব অঞ্চলে ওই গবেষণাটি চালানো হয় এর মধ্যে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেই এ কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এরপর রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, অ্যামেরিকা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া।
একটানা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার ফলে সবচেয়ে বেশি অকাল মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটছে যথাক্রমে লেবাননে (১১.৬%), নেদারল্যান্ডস-এ (৭.৬%) এবং ডেনমার্কে (৬.৯%)। আর এ কারণে সবচেয়ে কম অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে মেক্সিকোতে (০.৬%), মায়ানমারে (১.৩%) এবং ভুটানে (১.৬%)।
গবেষকরা হিসেব কষে দেখিয়েছেন, প্রতিদিন বসে থাকা সময়ের পরিমাণ ২ ঘন্টা করে কমিয়ে আনার মাধ্যমে মৃত্যুর হারও ২.৩% কমিয়ে আনা সম্ভব।
এমনকি প্রতিদিন বসে থাকার পরিমাণ ১০% বা আধা ঘন্টা কমিয়ে আনার মাধ্যমেও অকাল মৃত্যুর সকল কারণ ০.৬% কমিয়ে আনা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *