জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি কমেছে

বিডি নিউজ ৬৪: চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের শেষ মাস অর্থ্যাৎ জুনে ছিল ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ এই তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গত তিন বছর যাবৎ মূল্যস্ফীতি ক্রমান্বয়ে কমছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি খানিকটা কমেছে। তবে ঈদের কারণে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে।’
খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশে। যা জুনে ছিল ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। তবে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশে। আগের মাসে তা ছিল ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষকদের উৎপাদিত খাদ্য পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বেশি দামে তাদের কাছ খাদ্যশস্য কিনছে। কারণ তাদের অনেক সময় লোকসানে শস্য বিক্রি করতে হয়। এজন্য ন্যাষ্যমূল্য দিতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটাও খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়ার একটা কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশে। জুন মাসে তা ছিল ৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
অপরদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে কমে দাঁড়িয়েছে ৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
জুলাইয়ে মজুরী হারও বেড়েছে। আগের মাসের ৬ দশমিক ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ১৩ শতাংশ হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *