মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।করোনা ও বন্যার কারণে বিপর্যস্ত অর্থনীতিতে কিছুটা গতি নিয়ে আসছে কোরবানি।
বিশেষ করে দেশীয় পোশাক কারখানাগুলোয় উৎপাদন অনেক বেড়েছে। বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীদের চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। কোরবানির অর্থনীতির মূল চালিকা হচ্ছে গবাদি পশু বেচাকেনা।
এবার দেশে ১ কোটি ১০ লাখ চাহিদার বিপরীতে কোরবানির পশু মজুদ রয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ। এ ছাড়া চামড়া, মসলা, দা, বঁটি, পরিবহন, পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। বাড়ছে টাকার প্রবাহও। মন্দার মধ্যেও বেড়েছে রেমিটেন্স (প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ)।
করোনার মধ্যেও সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের একটি অংশ বোনাস পেয়েছেন। সীমিত আকারে চলছে গণপরিবহন। সবকিছু মিলে দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা গতি ফিরতে শুরু করেছে। তবে ২০টিরও বেশি জেলায় বন্যার কারণে এবারও উৎসবে ঘাটতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, আগামী ১ আগস্ট দেশে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হবে। এ হিসাবে মাত্র ৬ দিন বাকি। কোরবানিতে পশু জবাইকে কেন্দ্র করেই উদ্যাপিত হয় মূল উৎসব। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে বর্তমানে দেশে গবাদি পশুর সংখ্যা ৫ কোটি ১০ লাখ।
এর মধ্যে গরু ও মহিষ দুই কোটি ৩৫ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া দুই কোটি ৫৫ লাখ। এ বছর কোরবানির উপযোগী এক কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ৩৮ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭৩ লাখ ৫৫ হাজার ছাগল ও ভেড়া। অন্যান্য সাড়ে ৪ হাজার। কোরবানিতে চাহিদা ১ কোটি ১০ লাখ। গত বছর কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ১২ লাখ পশু। তবে এবার পশুর চাহিদা সংখ্যা কমবে। কারণ, এবার কোরবানির সক্ষমতা কম।
bdnews64 বাংলাভাষায় প্রকাশিত দেশের সর্ববৃহৎ সংবাদ পোর্টাল