ঝিনাইদহের বৃদ্ধা সোহাগীর এক মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধ
ঝিনাইদহের বৃদ্ধা সোহাগীর এক মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধ

ঝিনাইদহের বৃদ্ধা সোহাগীর এক মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধ

বিডি নিউজ ৬৪: ভিক্ষা করার শক্তি নেই। ঠিক মতো হাটা চলাও করতে পারেন না শ্রীমতি সোহাগী রানী। তারপরও এক মুঠো ভাতের জন্য ছুটতে হয় গ্রাম থেকে শহরে। বয়সের ভারে কাবু সোহাগীর মৃত্যু যখন কড়া নাড়ছে দরজায়, তখন নিত্য যুদ্ধ পেটের খোরাক জোগাড় করতে।

তবে কোন কোন দিন না খেয়েও দিন পার করেন তিনি। শ্রীমতি সোহাগী রানীর বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অমুল্য কুমারের স্ত্রী। মুক্তিযুদ্ধের আগেই সোহাগী রানী বিধবা হন বলে জানালেন। দুই ছেলে ক্ষিতিশ ও সুশান্ত জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভাবের সংসারে যেন সোহাগী রানী বোঝার মতো। ছেলেদের সংসার ঠিকমতো না চলার কারণে তিনি এই বৃদ্ধ বয়সে দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে বেড়ান।

সোহাগী রানীর বয়সের কারণে ঠিকমতো কথাও বলতে পারেন না। লম্বা দীর্ঘদেহী এই নারী এখন হামাগুড়ি দিয়ে হাটেন। বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে জানালেন, তার বয়স এখন একশ ছুঁই ছুঁই। বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কোনটাই তিনি পান না। বয়স্ক ভাতার কার্ডের জন্য কত নেতা আর জনপ্রতিনিধিদের দারস্থ হয়েছেন। কেও কথা আমার রাখেনি।

আক্ষেপ করে সোহাগী জানালেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের তালিকায়ও তার নাম ওঠেনি। কত মানুষকে অনুনয় বিণয় করলাম একটা কার্ডের জন্য। কেও আমার কথা শোনেনি। বুধবার ঝিনাইদহ শহরের আলম বিপনীর সামনে সোহাগী রানী মাথা গুজে বসে ছিলেন সাহায্যের জন্য। সেখানেই কথা হয় তার সাথে।

মেসার্স আলম বিপনীর মালিক শওকত মিয়া জানান, সোহাগী রানী খুব অসহায় একজন মহিলা। এই বয়সে যদি তিনি সরকারী সাহায্য না পান, তবে অন্যায় করা হবে। সোহাগী রানীকে কেও সাহায্য বা বিকাশ করতে চাইলে আলম বিপনীর ফোন নাম্বারে ০১৭১১-৪৭৯৩২৩ যোগাযোগ করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *