কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী গফুর হালির জীবনাবসান

বিডি নিউজ ৬৪: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গানের কিংবদন্তি গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী গফুর হালির জীবনাবসান ঘটেছে ।  নগরীর সার্সন রোডে মাউন্ট হাসপাতালে বুধবার  ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

জানা গেছে , গফুর হালী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে গত দুই মাস ধরে হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছিলেন । ৮৮ বছর বয়সী এই গীতিকার ৬০ বছর ধরে একটানা গান লিখে আসছিলেন । গফুর হালীর গান গেয়ে সঙ্গীত অঙ্গনে শেফালী ঘোষ, সন্দীপন, শিরিনসহ অনেক শিল্পী নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন । শিল্পী শেফালী ঘোষের গাওয়া ‘ও শ্যাম রেঙ্গুম নঅ যাইওরে’, সন্দীপনের কণ্ঠে ‘সোনাবন্ধু তুই আমারে করলিরে দিওয়ানা’, শিরিনের কণ্ঠে ‘পাঞ্জাবিওয়ালা’ ও ‘মনের বাগানে ফুটিল ফুলরে’ এবং কল্যাণী ঘোষের গাওয়া ‘দেখে যারে মাইজভাণ্ডারে হইতেছে নুরের খেলা’- এমন অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আবদুল গফুর হালী । মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও অসংখ্য ভক্ত-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।  গফুর হালীর মৃত্যুতে তার পরিবার সহ সঙ্গীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , গফুর হালীর মরদেহ বুধবার নগরীর নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির পিএইচপি হাইটসে রাখা হবে । তার পর বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ফটিকছড়ির মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে প্রথম নামাজের জানাজা, জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে বাদ মাগরিব দ্বিতীয় জানাজা এবং শুক্রবার নিজ গ্রাম পটিয়ার রশিদাবাদ ইউনিয়নের শোভনদণ্ডীতে বাদ জুমা তৃতীয় ও শেষ নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

এদিকে গফুর হালীর মৃত্যতুতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনগুলো গভীর শোক প্রকাশ করেছেন । একই সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে।।

গফুর হালী চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের সম্রাজ্ঞী হিসেবে পরিচিত শিল্পী শেফালী ঘোষের সঙ্গীতগুরু।