কর্মক্ষেত্রে যে পাঁচ বিষাক্ত লোককে এড়িয়ে চলতে হবে
কর্মক্ষেত্রে যে পাঁচ বিষাক্ত লোককে এড়িয়ে চলতে হবে

কর্মক্ষেত্রে যে পাঁচ বিষাক্ত লোককে এড়িয়ে চলতে হবে

বিডি নিউজ ৬৪: আমাদের সকলের জীবনেই এমন কিছু লোক থাকেন যাদের আমরা জানি যে তারা আমাদের জীবনের জন্য উপকারি হওয়ার চেয়ে বরং অনেক বেশি ক্ষতিকর। তবে যারা বিষাক্ত তাদেরকে শনাক্ত করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। বরং সমস্যাটি হলো কাকে এড়িয়ে চলতে হবে তা শনাক্ত করার ক্ষেত্রে।
এখানে এমন সবচেয়ে বিষাক্ত পাঁচ ধরনের লোকের বিবরণ দেওয়া হলো যাদের আপনার এড়িয়ে চলা দরকার হবে। আর নয়তো আপনি নিজের উপকার করার চেয়ে বরং বেশি ক্ষতি করার বিপদেই পড়ে যাবেন।
১. নিরুৎসাহিতকারী ব্যক্তি
কর্মস্থলে এমন একজন ব্যক্তি থাকেন যিনি সবসময়ই হতাশাবাদি। এ ধরনের লোকের সাথে কথা বললে আপনার দূঃখভারাক্রান্ত্র হওয়া ছাড়া আর কোনো গতি থাকবে না। এবং এতে আপনার নিজের সম্পর্কে শুধু খারাপ অনুভূতিই হবে। সুতরাং এ ধরনের লোককে সবসময়ই এড়িয়ে চলুন। আপনার জীবনে আরো কোনো নেতিবাচকতা দরকার নেই কারণ ইতিমধ্যেই দুনিয়াতে প্রচুর খারাপ জিনিস বিরাজ করছে।
২. যিনি কথা বলা বন্ধ করতে পারেন না
বকবককারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা যায় সহজেই। তবে কখন কথা বলা বন্ধ করতে বলতে হবে এবং উৎপাদনশীল কিছু করতে হবে তাও জানা থাকতে হবে। আর নয়তো কর্মক্ষেত্রে আপনার কিছুই করার থাকবে না। আর ওই লোক নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠে আপনার কার্যকারিতা ধ্বংস করবে। সুতরাং বিরতি নেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ কাজ না করে তার সঙ্গে জড়াতে যাবেন না।
৩. যে ব্যক্তির সঙ্গে আপনি সবসময়ই প্রতিযোগিতা করেন
যদিও যারা আপনার মতো একই কাজ করে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করাটা স্বাভাবিক তথাপি আমাদেরকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে ওই প্রতিযোগিতা যেন অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে গিয়ে না পৌঁছায়। সুতরাং প্রতিযোগিতা বন্ধ করে বরং ভাবুন আপনি যা করছেন তা-ই যথেষ্ট।
৪. যিনি সবসময় অভিযোগ করেন
ইনি হলেন সেই ব্যক্তি যিনি নেতিবাচক না হলেও সবসময়ই তাদের যাই করতে দেওয়া হোক না কেন তা নিয়ে অভিযোগের বিলাপ করবেন। এরা যেন আপনার কোনো কাজে মনোযোগ ধ্বংস করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। আর এভাবেই আপনি যে কাজটি করছেন তা উপভোগ করতে পারবেন।
৫. যিনি আপনার কথা একদমই শোনেন না
আমাদের সকলেই এই ব্যক্তিকে চিনি। এরা হলেন তারা যাদেরকে কোনো কাজ দেওয়ার পর তা শেষ করার আগে সময়সীমা, দিকনির্দেশনাগুলো এবং কাজের বিস্তারিত বিবরণ অন্তত পাঁচবার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে আপনার সময় বাঁচাতে এবং বিরক্তি এড়াতে এদের বদলে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *