বিডি নিউজ ৬৪: বাগেরহাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক জেএমবি সদস্য নিহত হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছী ইউনিয়নের রাখালগাছী গ্রামের একটি রাস্তার ওপর ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি শুটার গান, পাঁচটি গুলি এবং তিনটি হাতবোমা উদ্ধার করেছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
নিহত ওই জেএমবি সদস্যের নাম-পরিচয় পুলিশ জানাতে পারেনি। অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই জেএমবি সদস্যর আনুমানিক বসয় ৪০ বছর বলে পুলিশ জানায়।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় জানান, রাখালগাছী গ্রামের একটি রাস্তার ওপর ১০-১২ জনের একদল জেএমবি সদস্য নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে- গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে জেলা পুলিশ এবং গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ যৌথভাবে সেখানে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে জেএমবি সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি এবং বোমা নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয়ের ওই জেএমবি সদস্যকে আটক করা হয়। জেএমবির অপর সদস্য পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় আরো জানান, আহত অবস্থায় ওই জেএমবি সদস্যকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক দ্রব্য আইন এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ অক্টোবর ভোরে বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার মঘিয়া গ্রামের একটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ চার জেএমবি সদস্যকে এবং ৩ নভেম্বর গভীর রাতে বাগেরহাট-পিরোজপুর সড়কের দড়াটানা ব্রিজের নিচে একটি চায়ের দোকানে অভিযান চালিয়ে আরো চার জেএমবি সদস্যকে আটক করে। দুই দফায় আটক ওই আট জেএমবি সদস্যদের কাছ থেকে পুলিশ বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, বোমা, কম্পিউটর, ল্যাবটপ, বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং জিহাদি বই উদ্ধার করে। আটক ওই আট জঙ্গি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের জঙ্গিতৎপরতা সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে পুলিশ জানায়। তবে দুই দফায় ওই আট জেএমবি সদস্যর সঙ্গে নিহত এই জঙ্গির যোগসূত্র আছে কি না তাৎক্ষণিক ভাবে পুলিশ জানাতে পারেনি।