বিডি নিউজ ৬৪: রাজশাহী নগরীর মতিহার থানার এক এএসআইকে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত ওই এএসআইয়ের নাম শামিউল হক (২৮)। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর কাজলা খোজাপুর এলাকায় তাঁকে পিটিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার নিকট থেকে পিস্তলটিও কেড়ে নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে পিস্তলটি ফেরত দেওয়া হয়।
সাদা পোশাকে আসামি ধরতে গেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদার ও নগরীর জাহাঘাট এলাকার বাসিন্দা শিমুল হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে আহত এএসআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথার বাম পাশে জখমের চিহ্ন রয়েছে বলে জানয়েছেন ওই ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে নগরীর মতিহার থানার ওসি হুমায়ন কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, এএসআই শামিউল হক একা সাদা পোশাকে মাদক এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে যান নগরীর খোঁজাপুর এলাকায়। এ সময় আসামিদের নাম-ঠিকানা জানতে চাইলে কয়েকজন লোক আসামিদের চেনেন বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে জানায়। এরপর তারা শামিউলকে একটি গলির মধ্যে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহত শামিউলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
এদিকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকাদার ও নগরীর মতিহারের জাহাজঘাটি এলাকার বাসিন্দা একরামুল হকের শিমুলের সঙ্গে আগে থেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এএসআই শামিউল হকের। তবে মাঝে তাদের মধ্যে দ্বদ্বের সূত্রপাত ঘটে। এরই জের ধরে আজ শনিবার বিকেলে এএসআই শামিউলের ওপর হামলা করেন শিমুল এবং তার সহযোগীরা। এ সময় শামিউলকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। কেড়ে নেওয়া হয় কমরে থাকা পিস্তলটিও। যদিও পরে পিস্তলটি ফেরত দেন শিমুল।
স্থানীয় আরেকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মাদকের টাকা আদায় করার ঘটনার জের ধরেই শামিউলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে শামিউল মাঝে-মধ্যেই সাদা পোশাকে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতেন। আজও তিনি টাকা আদায় করতে গেলে শিমুলের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর হামলা করে। নগরীর খোজাপুর এই এলাকাটি ফেনসিডিলের আড্ডাখানা বলেও পরিচিতি।
তবে এ বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে শিমুলকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে শিমুল গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছেন।