বিডি নিউজ ৬৪: সানি লিওনকে বিভিন্ন মিডিয়ায় যৌন আবেদনময়ী সাবেক পর্ন তারকা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। আর ভারতে সাংবাদিক ও মিডিয়া জগতের সংশ্লিষ্টদের নানা ধরনের বাক্যবাণে জর্জরিত হতে হয় তাকে। এর পরও সানি লিওনকে কখনোই বিচলিত হতে দেখা যায় না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ম্যানস ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া।
সানি লিওনকে বিভিন্ন সাংবাদিকের কঠিন প্রশ্নের মাঝে পড়তে হয়। তাদের বহু প্রশ্নের ধরনে থাকে অপমানকর নানা অংশ।
তার পেছনের ইতিহাসই যেন সবকিছু, এমনটাই উঠে আসে প্রশ্নের মাঝে। কিন্তু সানি লিওন সর্বদাই এসব প্রশ্নের জবাব দেন ধৈর্যর সঙ্গে। সর্বদা তিনি একটি দূরত্ব বজায় রেখে সে প্রশ্নগুলো মোকাবিলা করেন।
সম্প্রতি সানি লিওন টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন। সানি লিওন বলিউডে অভিনয় করছেন। এখানে তিনি কোনো পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করছেন না। তবে তার পর্নোগ্রাফির বাইরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের সংখ্যা মাত্র সাতটি বলে জানা যায়।
২০০৩ সালে তাঁকে পেন্টহাউস বর্ষসেরা পেটস হিসেবে অভিষিক্ত করা হয় এবং তিনি ভিভিড এন্টারটেনমেন্টের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। তিনি ম্যাক্সিম বিশ্বেসেরা ১০ পর্ণোতারকার একজন হিসেবে নির্বাচিত হন ২০১০ সালে। এরপর তিনি মূলধারার চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তিনি পূজা ভাটের জিসম ২ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন।
জুন ২০০৬ সালে, লিয়ন একজন আমেরিকান নাগরিক হয়ে ওঠেন। কিন্তু কানাডায় দ্বৈত নাগরিক হিসেবেও থাকেন। ২০১২ সালে তিনি দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে নিজেকে ভারতের অধিবাসী হিসেবে ঘোষণা করেন।
সানি লিওন সর্বদা তার পর্নো ক্যারিয়ার ও বর্তমানে চলমান বলিউড ক্যারিয়ারকে আলাদা রাখেন। এক্ষেত্রে উভয়ের মাঝে পার্থক্য তৈরি করাকেও তার কৃতিত্ব হিসেবে দেখছেন অনেকে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং তার স্বামীর নাম ড্যানিয়েল ওয়েবার। ২০১১ সালে তিনি বিয়ে করেন।