বিডি নিউজ ৬৪: শেরপুর শহরের উপকণ্ঠে মৃগী নদীর তীরে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে তবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপী জেলা ইজতেমা। ইতিমধ্যে মাঠ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তবলীগ জামাতের কর্মীরা ছাড়াও দ্বীন ও ইসলামের দাওয়াতের কাজে স্বেচ্ছায় ইজতেমা মাঠ তৈরি করতে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন কৃষক-শ্রমিক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মনুষ। সকল ভেদাভেদ ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে তারা এসব কাজ করছেন।
ইজতেমা মাঠে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে তবলীগ জামাতের সাথি দল এসে মাঠে অবস্থান করছেন। তারা মাঠে অবস্থান করে দাওয়াতী কাজের পাশাপাশি মাঠ তৈরিতে পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের সুধীবৃন্দ ইজতেমাকে সফল করতে নানাভাবে সহায়তা করছেন।
তবলীগের স্থানীয় সূরা সদস্যদের দেওয়া তথ্যমতে, শহরের অস্টমী পুলিশ লাইন ও বাটারাঘাট সংলগ্ন মৃগী নদীর তীরে প্রায় ৮ একর জমির ওপর ইজতেমার জন্য প্যান্ডেল দিয়ে ১৫টি খিমায় ৬টি খিত্তা তৈরি করা হয়েছে। সেই সাথে মাঠের নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার পাশপাশি তবলীগ জামাতের নিজস্ব প্রায় এক হাজার সদস্যের বেশ কয়েকটি পাহারাদার জামাত কাজ করবে। মাঠে থাকার বেডিংসহ একসাথে নামাজ আদায় করার জন্য প্রায় ৩০ হাজার মুসুল্লির ধারণ ক্ষমতা করা হলেও কেবলমাত্র নামাজ আদায় করতে পারবে প্রায় ৬০ হাজার মুসুল্লি। এছাড়া ইজতেমার শেষ দিন আখেরি মোনাজাতের দিন প্রায় লক্ষাধিক মুসুল্লি’র সমাবেশ হবে বলে আশা করছেন ইজতেমা ইনতেজাম কমিটি। সে হিসেবেই প্রায় সহস্রাধিক টয়েলেট, আড়াই শতাধিক বিশুদ্ধ খাবার পানির টিউবওয়েল, তিনটি গভীর নলকুপ, নদীর উপর বাঁশ ফেলে অজুখানা, দুটি ভাসমান বাঁশের সেতু ও রান্না করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা তবলীগ জামায়াতের শুরু সদস্য অধ্যাপক মো. সারোয়ার হোসেন জানান, তিন দিনের এ ইজতেমায় ঢাকার কাকরাইল মার্কাস থেকে মুরুব্বীসহ দেশি-বিদেশি তবলীগ জামায়েতের মুরুব্বীরা দ্বীন ও ইসলাম কায়েমের জন্য দাওয়াত এবং বয়ান করবেন। এই ইজতেমা থেকে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় অনেকগুলো জামাত বের হবে। এজন্য ইজতেমায় তাশকিল (জামাতবন্দি হওয়া) করা হবে। ইতিমধ্যে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার দুটি তবলীগ জামাত ইজতেমা উপলক্ষে শেরপুরে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার বাদ আসর জেলা ইজতেমার আনুষ্ঠানিক বয়ান শুরু হবে এবং শনিবার বেলা ১১ টার মধ্যে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে জেলা ইজতেমা শেষ হবে।