বিডি নিউজ ৬৪: বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হয়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ৩১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার ছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানিয়েছেন।
প্রতিমাসে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার আমদানি খরচ হিসেবে এই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এলে ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে ২০০১ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল বাকি রাখতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ।
১৬ বছরের মাথায় সেই রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। এই হিসেবে গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের রিজার্ভ বেড়েছে ৩১ গুণ।
চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয় কম আসার পরও রিজার্ভ বাড়ার কারণ কী?
অর্থনীতির গবেষক জায়েদ বখত বলেন, “আমদানিও কমেছে। সে কারণেই রিজার্ভের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।” রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ খোয়ানোর পর নানা ধরনের সমালোচনার মধ্যে তা ৩১ বিলিয়ন ডলানোর ঘটনাকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবেই দেখছেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত।