বিডি নিউজ ৬৪: ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩ হাজার ১৮৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বাজেট ঘোষণা করেন সংস্থার মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। একই সঙ্গে গত অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৮৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার থেকে সংশোধিত ১ হাজার ৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
মেয়র জানান, এবার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের নিজস্ব উৎস থেকে ১ হাজার ৩৯১ কোটি ২৭ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য উৎস থেকে ধরা হয়েছে ১১ কোটি ১২ লাখ টাকা এবং সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট উৎস থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক হাজার ৭০৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
অন্যদিকে, সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা।
মেয়র জানান, এবার বাজেটে ডিএসসিসির নিজস্ব উৎস থেকে আয়ের খাতগুলো হলো- হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে ৫০০ কোটি টাকা, বাজার সালামি থেকে ৬৫০ কোটি, বাজার ভাড়া ৩০ কোটি, ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৬৫ কোটি, রিকশা লাইসেন্স বাবদ ৩ কোটি ৬০ লাখ, বাস-ট্রাক টার্মিনাল থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ, অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা বাবদ ৫ কোটি ৬০ লাখ, রাস্তা খনন ফি বাবদ ২৮ কোটি, যন্ত্রপাতি ভাড়া বাবদ ১০ কোটি, সম্পত্তি হস্তান্তর কর খাতে ৬৫ কোটি, শিশু পার্ক থেকে ৬ কোটি ৭০ লাখ, কমিউনিটি সেন্টার বাবদ আয় ৩ কোটি, অস্থায়ী আমানতের সুদ বাবদ ৩ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে।
অন্যদিকে, এবার অর্থবছরে সড়ক ও ট্রাফিক অবকাঠামো উন্নয়ন ছাড়াও বাজেটে উল্লেখযোগ্য ব্যয়ের খাতগুলো হলো- বেতন বাবদ ২৪০ কোটি টাকা, ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৫৬০ কোটি ৬৯ লাখ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও গ্যাস বাবদ ৭৯ কোটি, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ ২৯ কোটি ৭৫ লাখ, মশক নিয়ন্ত্রণে সাড়ে ১১ কোটি টাকা, বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প খাতে ২০ কোটি টাকা।
এছাড়া নাগরিক বিনোদনমূলক সুবিধাদি উন্নয়ন খাতে ১৫১ কোটি ৫০ কোটি, ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন খাতে ৫৩৪ কোটি ৬৬ লাখ, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও সম্পদ ক্রয় বাবদ ২০৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে মেয়র জানিয়েছেন।
বাজেট ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে উন্নয়ন কাজে শতভাগ এগিয়ে। গত বছর আমরা যখন দায়িত্ব নিই তখন ডিএসসিসির দায়-দেনা ছিল প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা। এবার আমরা সে দেনা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এর অন্যতম কৃতিত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বিলাল ও সচিব খান মোহাম্মদ রেজাউল করিমসহ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।