বিডি নিউজ ৬৪: চল্লিশ পেরোলেও ডিমের কুসুম, মাখন, মাংস নির্দ্বিধায় খেতে পারেন! কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থা ডায়েটারি গাইডলাইন্স অ্যাডভাইজরি কমিটি।
তাদের প্রকাশিত ২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, কোলেস্টেরল যুক্ত খাদ্যের সঙ্গে রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কোনও সম্পর্ক নেই। ৫৭২ পাতার ওই রিপোর্টে গবেষকেরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ২০১০ সালে প্রকাশিত তাদের আগের রিপোর্টে কোলেস্টেরল সম্বন্ধে ভুল তথ্য ছিল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, প্রতি দিন ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল মানুষের শরীরে গেলে ক্ষতি। সেই ভুল এ বার সংশোধন করে নেওয়া হয়েছে।
নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, রক্তে থাকা কোলেস্টেরলের ৮৫ থেকে ৮৮ শতাংশই আসে যকৃৎ থেকে। খাবার থেকে রক্তে কোলেস্টেরল মিশে যায় মাত্র ১২ থেকে ১৫ শতাংশ। সুতরাং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিমের কুসুম, মাখন, রেড মিট খেতে আর অসুবিধা নেই। এমনই দাবি করছে ওই সংস্থা।
যদিও এর আগে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েসনের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জর্ডন তোমাসেলি জানিয়েছিলেন, এক জন পূর্ণাঙ্গ মানুষের প্রতি দিন ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন। একটি সেদ্ধ ডিমের কুসুমে কোলেস্টেরল থাকে ১৮৫ মিলিগ্রাম। সেদ্ধ ডিম ছাড়াও সারা দিনে কোলেস্টেরল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার সকলেই খেয়ে থাকেন। ফলে প্রতি দিনই ৩০০ মিলিগ্রামের বেশি কোলেস্টেরল জমা হয় শরীরে। তাই জর্ডন পরামর্শ দিয়েছিলেন, ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ যদি খাওয়া যায়, তা হলে শরীরে পরিমাণ মতো কোলেস্টেরল, ভিটামিন-ই পৌঁছবে। কিন্তু, নয়া এই মার্কিন রিপোর্ট জর্ডনের যুক্তিকেই খারিজ করে দিল।