বিডি নিউজ ৬৪: সদ্য প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, বাজেটে শুভংকরের ফাঁকি আছে। তবে বাজেটের একটা ভালো দিক হচ্ছে প্রতিবন্ধী চিহ্নিত করা। এই বাজেটে লক্ষ্য করার মতো একটা দিক এটা।
রোববার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘তথ্য অধিকার আইন ও প্রান্তজনবান্ধব সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় ‘প্রস্তাবিত বাজেট ২০১৬-১৭ কতটা প্রান্তজন বান্ধব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টাকা থাকা সত্ত্বেও প্রকল্প বাস্তবায়ন না হওয়া অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষণ নয় মন্তব্য করে খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ত্রিমাসিক পরিকল্পনা করে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করলে সুফল পাওয়া যাবে। এটা না করলে শেষের দিকে গিয়ে প্রকল্প ব্যায় বেড়ে যায়। বাস্তবায়ন দক্ষতার জন্য বড় বড় প্রকল্পগুলি যদি ঝুলে যায় তবে তা সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।’
প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের সামাজিক সুরক্ষা বলয়ে কিছু বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অপ্রতুল। নতুন ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার জন্য বাজেটে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট নয়। যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিনিয়োগের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাংলাদেশের জন্য বড় রকমের চ্যালেঞ্জ। শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি বিষয়ে বাজেট বক্তব্যে কোনো দিক নির্দেশনা নেই।’
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ১ লাখ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে খেলাপি ঋণ নিয়ে কোনো বক্তব্য নেই। ব্যাংকিং সেক্টর বেসরকারি খাতে দেওয়ার জন্য যারা বলে আমি মনে করি এটা ষড়যন্ত্র। যারা ব্যাংক নিতে চায় তারাই এই কথা বলে। আমাদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কল্যাণ অর্থনীতি থেকে আস্তে আস্তে ভোগবাদী অর্থনীতির দিকে ঝুঁকে যাচ্ছি। আয় এবং সম্পদ বৈষম্য প্রচণ্ড আকারে বেড়ে গেছে। আর এ বৈষম্য মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি করে তা অর্থনীতির জন্য খুবই ক্ষতিকর।’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সমুন্নয় কো-অর্ডিনেটর দিলরুবা ইয়াসমীন চৌধুরী। প্যানেল আলোচক ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো, বিআইআইএসএস ড. মাহফুজ কবীর।