দেশীয় চিনি ৫২ টাকা কেজি দামে ক্রয় করতে পারবে কুষ্টিয়ার মানুষ। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে এই দামে দেশি আখের প্যাকেটজাত চিনি বিক্রয় করা হচ্ছে।
বুধবার সকালে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দেশি আখের প্যাকেটজাত চিনি বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন। শিল্প মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এ কার্যক্রমের আয়োজন করে।
এ সময় তিনি জানান, সার্বিক অবস্থা মূল্যায়ন করে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণের মাঝে সহনীয় মূল্যে চিনি সহজলভ্য করার জন্য খুচরা মূল্য ৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সুগার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কুষ্টিয়া চিনিকলের উৎপাদিত চিনি ৫২ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে এই রমজানে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। এছাড়াও চিনি এক্সমিলের মূল্য ৪৮ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করে থাকি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কুষ্টিয়া চিনিকলে ২ হাজার ৬৭৬ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কুষ্টিয়ার মানুষের জন্য আমরা খোলা ট্রাকে করে প্যাকেটজাত চিনি ৫২ টাকা দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, ‘রমজানে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভোগ্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা লাভের জন্য দাম বাড়িয়ে থাকে। রমজানে প্রয়োজনীয় ছোলা, চিনি, তেলসহ কিছু দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। সেদিক থেকে মানুষ দেশীয় চিনি কিনতে পারবে কেজি প্রতি মাত্র ৫২ টাকা দরে। এছাড়াও আমাদের কাছে এনএসআইয়ের তথ্য রয়েছে, কুষ্টিয়ার মানুষের জন্য রমজানে যে পরিমাণ ছোলা, চিনি, তেল লাগবে তা ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ রয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঝেমধ্যেই মোবাইল কোর্টের অভিযান চালানো হবে।’