বিডি নিউজ ৬৪: শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ১৪টিই লোকসানে রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র কেরু অ্যান্ড কোং (বাংলাদেশ) লিমিটেডই লাভে রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) সংসদে প্রশ্নোত্তরে সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান।
আখের উৎপাদন হ্রাস পাওয়া, চিনি আহরণ হার কমে যাওয়া, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, উৎপাদন উপকরণ ও যন্ত্রাংশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াকে লোকসানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, সরকার নির্ধারিত দামে আখের ক্রয়মূল্য পরিশোধ, আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতিতে চিনির উৎপাদন মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের অধিকতর গ্যাপ থাকাও লোকসানের কারণ। আখের স্বল্পতায় কারখানাগুলোর উৎপাদনক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার না হওয়ায় উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে লোকসানে রয়েছে চিনিকলগুলো।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘লোকসানি চিনিকলগুলোকে লাভজনক করতে পাওয়ার টারবাইন, ডিজেল জেনারেটর ও বয়লার প্রতিস্থাপন প্রকল্প (জয়পুরহাট চিনিকলে বয়লার, নর্থবেঙ্গল, কুষ্টিয়া, কেরু অ্যান্ড কোং ও ফরিদপুর চিনিকলগুলোতে ডিজেল জেনারেটর) এবং ঝিলবাংলা ও পাবনা চিনিকলে পাওয়ার টারবাইন সংযোজনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি হলে লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে।’
এ ছাড়াও বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট (ঈশ্বরদী) উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও অধিক চিনিসমৃদ্ধ আখের উন্নতজাত পর্যায়ক্রমে চাষিদের মধ্যে সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রোপা পদ্ধতিতে আখের ফলন বৃদ্ধির জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আখচাষে প্রণোদনা দিয়ে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয় গঠিত রুগ্ন শিল্প সংক্রান্ত টাস্টফোর্স কর্তৃক শিল্প উদ্যোক্তাদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মোট ৩৬১টি রুগ্ন শিল্পকে চিহ্নিত করা হয়েছে।’
চিহ্নিত রুগ্ন শিল্পসমূহের বিষয়ে বিবেচনাক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে জানানো হয়েছে।
bdnews64 বাংলাভাষায় প্রকাশিত দেশের সর্ববৃহৎ সংবাদ পোর্টাল